ভাড়া নিয়ে বাকবিতন্ডায়, শিক্ষার্থীদের উপর হামলা যুবলীগ নেতা জাহিদ’র
রিপোর্ট :আজিজুল হাকিম //
বাস ভাড়া নিয়ে ছাএদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে যুবলীগ নেতা জাহিদের উপর। বরিশাল জেলা বাস মালিক সমিতির চরকাউয়া টু ডিসি রোডে চলাচলকারী মুজাহিদ পরিবহন বাসটির মালিকপক্ষ জাহিদ বাসের যাতায়াত ভাড়া নিয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে।
এ সময় হটাৎ শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালায় যুবলীগ নেতা আওয়ামীলীগের দোসর বার বার বিতর্কিত হওয়া জাহিদ।
বেস কয়েক বার বিভিন্ন গণমাধ্যমের শিরোনাম ও হয়েছে এই জাহিদ, কিছুদিন পূর্বে জাহিদ কে গোমা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে অপসারন ও সদস্য পদ বাতিল অবিলম্বে গ্রেফতার এর দাবিতে একটি মানববন্ধন ও করা হয়।
বাকেরগঞ্জ উপজেলার সাবেক পৌর মেয়র লোকমান ডাকুয়ার ছএছায়ায় ব্যাঙগের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছিলো জাহিদ। পাহাড় সমান অভিযোগ রয়েছে জাহিদের বিরুদ্ধে।
চরকাউয়া টু ডিসি রোডে চলাচল কারী মুজাহিদ পরিবহন বাস টি চরকাউয়ার থেকে ডিসি রোডের উদ্দেশ্য যাত্রা শুরু করে দুপুর ২ টায়।
বাস ছাড়ার একপর্যায়ে যখন তালুকদার হাট স্কুল এন্ড কলেজ অতিক্রম করে তখন তিন থেকে চার জন সাধারণ ছাত্রদের সাথে হাফ ভাড়া নিয়ে বাকবিতন্ডায় জড়ায়।
ঘটনার একটি পর্যায় শিক্ষার্থীদের ও জাহিদের সাথে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। স্থানীয় জনগণ ও বাসে থাকা যাএীরা জাহিদ কে দাবিয়ে রাখার চেষ্টা করে। জাহিদ কে দাবিয়ে রাখতে না পেরে বাকেরগঞ্জে চরামদ্দী ইউনিয়নের পুলিশ ফাঁড়িতে কল করা হয়।
মুজাহিদ পরিবহন বাসটি এক পর্যায়ে চরামদ্দি স্ট্যান্ড পর্যন্ত যায়। সেক্ষেত্রে ছাত্রদের সাথে বোঝাপড়ার জন্য জাহিদ বাস মালিক সমিতির স্থানীয় আওয়ামী সন্ত্রাসীদের ফোন করে জড় করে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে সাধারণ ছাত্ররা বরিশাল ইউনিভার্সিটির ছাত্রদের সাথে যোগাযোগ করে তাদের সহযোগিতা চেয়ে থাকে।
বরিশাল ইউনিভার্সিটির ছাত্ররা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে খুনী হাসিনার হেলমেট বাহিনীরা পালিয়ে যায়।এবং ঘটনাস্থল থেকে জাহিদকে উদ্ধার করে চরামদ্দি পুলিশ ফাড়িতে শোপর্দ করা হয়।
পুলিশ হেফাজতে গিয়ে ও পুলিশের সামনে বসেই করছে ধূমপান। একজন পুলিশ কর্মকর্তার সামনে বসে এমন ধূমপান করা পুলিশ কি চোখে দেখছে এমন প্রশ্ন থেকে গেলো।
বাকেরগঞ্জের গাড়ুলিয়া ইউনিয়নের ডিংগেরহাটের বাসিন্দা জাহিদ, আওয়ামী লীগ দলীয় প্রভাব দিয়ে বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে ছিলো, গোমা বাস মালিক সমিতি নিয়ে ও করেছে বেশ সিন্ডিকেট।
শিক্ষার্থীদের উপর হাত দেওয়ার অধিকার ও সাহস কিভাবে পেলো। এমন প্রশ্ন ও জেগেছে সাধারণ মানুষের মনে। তবে কি জাহিদ কে আইনের আওতায় আনা হবে না। এমন প্রশ্ন সবার মনেই থেকে যাচ্ছে।