বরিশাল নগরীতে রাতের আঁধারে দুই যুবককে কুপিয়ে জখম।
হাতের আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন।
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বরিশাল নগরীর পৃথক পৃথক স্থানে বসে দুই যুবককে দুই দফায় কুপিয়ে হাতের আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুরুতর জখম করেছে প্রতিপক্ষরা।এতে আহতরা হলেন কাউনিয়া হাউসিং এলাকার সোনাই সর্দারের ছেলের সাদ্দাম (৪০) ও সাদ্দামের কর্মচারী সুলতানের ছেলে মামুন (২৬)।
পরে স্থানীয়রা আহতদের মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।আহত সূত্রে জানা গেছে, চরমোনাই ট্রলার ঘাট এলাকার বাসিন্দা মৃত মক্কেল মিয়ার ছেলে নাগর বেশ কিছুদিন আগে মাদকসহ ডিবি পুলিশের হাতে আটকা হয়।
এবং বেশ কিছুদিন কারা ভোগ করে জামিনে বের হয় নাগর।জামিনের বের হয় সে সন্দেহ করে ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী সাদ্দাম তাকে পুলিশে ধরিয়ে দিয়েছে।অথচ সাদ্দাম এ বিষয়ে কিছুই জানে না।আর এ নিয়ে একাধিক বার সাদ্দামকে খুন জকমের হুমকি দেয়।
এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটায় কাউনিয়া পুরান ময়লাখোলা নামক স্থানে বসে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে সাদ্দামের কর্মচারী মামুনের উপর হামলা চালায়। এ সময় মক্কেল মিয়ার ছেলে নাগর,বাবুল মিয়ার ছেলে আলামিন,আজাহার মৃধার ছেলে সুমন মৃধা সহ অজ্ঞত ৮-১০ জন বগিদা ও রামদা দিয়ে মামুনকে এলোপাতাড়ি কোপাতে শুরু করে।
সময় প্রতিপক্ষের আঘাতে মামুনের বাঁ হাতের একটি আঙ্গুল বিচ্ছন্ন হয় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম হয়।পরবর্তীতে রাত আটটা পলাশপুর বউবাজার নামক স্থানে বসে সাদ্দামের পপথরোধ করে সাদ্দামকে ধারালো বগিদা ও রামদা দিয়ে এলোপাতারি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।
বর্তমানে আহতরা শেবাচিমের পুরুষ সার্জারি ওয়ান ইউনিট ও অর্থপেডিক ওয়ার্ডে মুমূর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।এদিকে হামলার পরে নাগরের স্ত্রী তানিয়া, শাশুড়ি কোহিনুর, ও বোন মুক্তা মামলা না দেওয়ার জন্য সাদ্দাম ও মামুনকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দিতে হাসপাতালে যায়।
বর্তমানে আহতরা প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
এ বিষয়ে আহত পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।