বটিয়াঘাটা আশ্রয় ফাউন্ডেশনের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা কার্যক্রম কাগজে কলামে ! স্কুলে হাঁসমুরগি দিয়ে চলছে শিক্ষা ! বুনারাবাদ উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা চিত্র (১)
এইচ এম সাগর (হিরামন) খুলনা->>
আশ্রয় ফাউন্ডেশন কর্তৃক পরিচালিত প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধিনে আউট অব স্কুল চিলড্রেন এডুকেশন প্রোগ্রাম (পিইডিপি-৪) খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলার সুরখালী ইউনিয়নের বুনারাবাদ উপানুষ্ঠানিক প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষা কার্যক্রম চলছে শিক্ষার্থীর পরিবর্তে হাসমুরগী দিয়ে। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় এই সব দৃশ্য। স্কুলের ভিতরে পালন করা হচ্ছে হাস মুরগি। সংবাকর্মীদের উপস্থিত টের পেয়ে স্কুলের শিক্ষিকা তড়িঘড়ি করে স্কুলের ভিতর থেকে হাস মুরগি তাড়িয়ে উঠানে নামিয়ে দেন। পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা সাইনবোর্ডটি টানিয়ে দিতে দেখা যায়। কাগজপত্রে ৩০ জন শিক্ষার্থী থাকলেও বাস্তবে তার সাথে কোন মিল নেই । দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ কেন যানতে চাইলে শিক্ষিকা সুমাইয়া সুলতানা বলেন, আমি অসুস্থ থাকার কারনে স্কুল বন্ধ ছিলো। আর এসব অনিয়ম দুর্নীতির পিছনে রয়েছে স্কুলের দায়িত্বে থাকা বটিয়াঘাটা উপজেলার আশ্রয় ফাউন্ডেশনের মোহাম্মাদ আলী জিন্নাহ। এবিষয় তার সাথে যোগাযোগ করার জন্য একাধিক বার উপজেলা অফিসে গেলে অফিস তালাবদ্ধ দেখা যায় এবং মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায় নি। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আলমগীর হোসেন বলেন,ইউএন’র অনুমতি ছাড়া কিছু বলতে পারবনা। বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বটিয়াঘাটা উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি সমির মন্ডল বলেন,বলেন,অনিয়ম দুর্নীতি শেষ নেই। আশ্রয়ন ফাউন্ডেশনের কর্তৃপক্ষ মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে আমাদের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া শিক্ষার্থী দেখিয়ে তাদের স্কুলে ভর্তি করাচ্ছেন। যার কারনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ও শিক্ষা বিভাগের ভাবমূর্তি চরম ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। যেখানে প্রতিটি গ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে,সেখানে এসব স্কুল চলেনা। তাছাড়া বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীদের দেখানো হচ্ছে ঝরেপড়া শিক্ষার্থী। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জোর দাবি করছি কর্তৃপক্ষের নিকট। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নুরুল আলম বলেন,এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ শুনেছি। তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। ইতোমধ্যে এদের বিরুদ্ধে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট রিপোর্ট পাঠিয়েছি। ##