পিতার সম্পত্তি ছেলেদের অবৈধভাবে দখল।
আদালতে মামলা দায়ের ও থানায় অভিযোগ।
নিজস্ব প্রতিবেদক
পিতা কে মিথ্যা ও ভুল বুঝিয়ে সম্পত্তি জোর করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠেছে ২ ছেলেও ১ মেয়ের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে পিতা মোঃ আব্দুল খালেক মৃধা বরিশাল সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন যাহার নং-৫৩১/২০২৪। ও ছেলে হাফিজুর রহমান বাদলের এর জমি দখল দোকানপাট ভাঙচুর কাউনিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায় আব্দুল খালেক মৃধার মেজো ছেলে হাফিজুর রহমান বাদল ২০২২সালে পিতাকে ভুল বুঝিয়ে রেজিস্ট্রি অফিসে নিয়ে টিপসই নিয়ে পিতার নামে থাকা সম্পত্তি নিয়ে যায়। বিষয়টি পিতা আব্দুল খালেক জানতে পেরে ছেলে হাফিজুর রহমান বাদল এর নামে ১১/১১/২০২৪ তারিখ একটি মামলা দায়ের করেন যাহার মামলা নং৫৩১/২০২৪। মেজো ছেলে বাদল বিষয়টি জানতে পেরে ৪/১২/২৪ তারিখ সকাল ১০টায় ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে জানু কি সিংহ রোড বাসু মিয়ার গল্লী সংলগ্ন আমার বসত ঘরের সামনে থাকা দুটি দোকান ভেঙ্গে ফেলে। আমি নিষেধ করলে বাদল ও তা সহযোগীরা অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে এবং আমাকে মারধর করবে বলে হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদান করেন। এছাড়াও আব্দুল খালেক আরো অভিযোগ করে বলেন আমার ছেলে বাদল একদিন সকাল বেলা ফোন করে বলে বাসার সামনে বের হতে কথা আছে কিন্তু রাস্তায় গেলে আমাকে রিকশায় উঠতে বলে তার বাসায় যাওয়ার জন্য কিন্তু সে বাসায় না নিয়ে রেজিস্ট্রি অফিসে নিয়ে যায় আমাকে আমি কারণ জানতে চাইলে সে বলে ভিতরে চলো কথা আছে আমি গিয়ে দেখি আমার ছোট ছেলে সাইফুল ইসলাম মেয়ে সেলিনা পারভীন ও রয়েছে তাদের হাতে দলিল পত্র ওই দলিল পত্রে আমাকে সই দিতে বলে। না দিলে তখন আমাকে জোর করে টিপসই নেয়ার চেষ্টা করে এবং ধস্তাধস্তি হয় এক পর্যায়েআমি অজ্ঞান হয়ে পড়লে তারা জোর করে আমার হাত থেকে টিপসই নিয়ে নেয়।এবং ২০২২ সালে একটি হেবা দলিল করেন। আমার জ্ঞান ফিরলে বাদল বলে দলিলটি ফেরত দিয়ে দেব। কিন্তু বাদল আজ না কাল কাল না পরশু এরকমের বলতে বলতে আমাকে হঠাৎ বাড়ি থেকে চলে যেতে বলে আমি জিজ্ঞেস করি কোথায় যাব সে উত্তর দেয় কোথায় যাবা সেটা আমার দেখার বিষয় নয়।এবং লোকজন নিয়ে দোকান ভেঙ্গে সিটি কর্পোরেশনের পারমিশন ছাড়া অবৈধভাবে আমার সম্পত্তিতে প্রবেশ করে পাকা ভবনির্বাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে । এ বিষয়ে অভিযুক্ত হাফিজুর রহমান বাদল জানান আমার পিতার কাছ থেকে ২৭/৬/২০২২ তারিখ আমরা তিন ভাই বোন মিলে জমিটি কিনে নেই।আমার পিতার একটি লোন থাকায় ১৫লক্ষ ৩০ হাজার ৭ শত ৭০ টাকার তিনি ওই লোনটি পরিশোধ করতে না পারায় আমাদের কে বললে আমরা তিন ভাই বোন মিলে লোনটি পরিশোধ করি। আমাদেরকে তার বিনিময়ে জমি লিখে দেন।আমি আমার জায়গায় ঘর উত্তোলন করি। অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে তিনি জানান ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে দেখে গিয়েছে এবং আমাকে কাজ করতে অনুমতি দিয়ে গেছেন।এ বিষয়ে কাউনিয়া থানার এসআই আলাউদ্দিন এর কাছে জানতে চাইলে যে আদালতে মামলা চলাকালীন অবস্থায় কাজ করার পারমিশন দিতে পারে কি না। তিনি জানান পুলিশ কাউকে কাজ করার অনুমতি দিবেনা আবার বাধা ও দিবে না।এটি তাদের পারিবারিক বিষয় আমি থানায় তাদেরকে আসতে বলছি বিষয়টি সমাধান করার জন্য।পিতা খালেক মৃধা আরো জানান আমার মেজো ছেলে ও ছোট ছেলে কেউ আমাকে দেখে না খবর নেয় না আমাকেও উচ্ছেদ এর পায়তারা চালাচ্ছে। আমার সম্পত্তি ফেরত চাই, আমি এদের মিথ্যা ও প্রতারণার সিকার। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট সঠিক বিচার দাবি করি যেন আমার সম্পত্তি আমি ফেরত পাই।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ নাঈম ইসলাম
নিউজ এডিটর : ইসরাত জাহান শান্তা।
ঠিকানা : হাসপাতাল রোড
বরিশাল
ই-মেইল : dainikbangladeshpotro@gmail.com
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলাদেশ পত্র. All rights reserved.