নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টিসহ সংস্কার কমিশনের কাছে জন-আকাঙ্ক্ষাভিত্তিক সুপারিশমালা প্রণয়নের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন, দি হাঙ্গার প্রজেক্ট- বাংলাদেশ
মোঃ নাঈম ইসলাম (বরিশাল)
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে কর্তৃত্ববাদী আওয়ামী শাসনের অবসানের পর একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্র পরিচালনা করছে।
এই সরকারের কাছে জনগণের প্রত্যাশা রাষ্ট্রব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের পর একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা অর্পণ করা। জন-আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী দেশ এখন সংস্কারের পথে যাত্রা শুরু করেছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ড. বদিউল আলম মজুমদারকে প্রধান করে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, ড. আলী রিয়াজকে প্রধান করে সংবিধান সংস্কার কমিশন, আবুল মুয়ীদ চৌধুরীকে প্রধান করে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, বিচারপতি আবু নাদিম মোমিনুর রহমানকে প্রধান করে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন, ড ইফতেখারুজ্জামানকে প্রধান করে দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশন এবং সফর রাজ হোসেনকে প্রধান করে পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশন গঠন করেছে এবং ইতোমধ্যেই প্রয়োজনীয় সংখ্যক সদস্য-সমন্বয়ে কমিশনগুল্যে কার্যক্রমও শুরু করেছে। এদিকে গত ১৭ অক্টোবর ২০২৪-এ আরও ৪টি কমিশন গঠনের ঘোষণা দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সেগুলো হলো জাতীয় অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খানকে প্রধান করে স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্কার কমিশন, কামাল আহমেদকে প্রধান করে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন, সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহাম্মদকে প্রধান করে শ্রমিক অধিকারবিষয়ক সংস্কার কমিশন এবং শিরীন পারভীন হককে প্রধান করে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন। দেশের আগ্রগতির জন্য স্থানীয় সরকার একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হলেও প্রথমদিকে এবিষয়ে সংস্কারের কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। তবে আশার কথা গত ৩১ অক্টোবর অন্তর্বর্তী সরকারের একজন উপদেষ্টা স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন গঠনেরও ঘোষণা দিয়েছেন। এজন্য সরকারকে ধন্যবাদ। কেননা আমরা যদি আমাদের উন্নয়নের পতিকে ত্বরান্বিত করতে চাই, তবে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহকে শক্তিশালী করার কোনো বিকল্প নেই।
সংস্কার কমিশনসমূহের কাছে আমাদের প্রত্যাশা, তাদের সুপারিশমালায় যেন জন-আকাঙ্ক্ষাগুলো গুরুত্ব পায়।