নড়াইলের আলোচিত সেই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু।
বিশেষ (প্রতিনিধি )
নড়াইল সদর উপজেলার বিছালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আলোচিত সেই প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক মফিজ মাষ্টারের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। জেলা শিক্ষা অফিসার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে( ৮ সেপ্টেম্বর) জেলা শিক্ষা অফিসার নিজে বিছালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে তদন্তে যান। তদন্তে ক্লাস রুমে মদ পানের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক মফিজ মিয়া জড়িত থাকার তথ্য সুস্পষ্ট হয়। এবং মফিজ মাষ্টার তদন্ত বোর্ডে মদ পানের বিষয়টি শিকার করেন।তবে দাবি করেন ভিডিও টি ক্লাস রুমের না। ভারত থেকে এক প্রবাসী ভারতীয় মদ আনলে সাময়িক সময়ের জন্য একটু মদ পান করেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় বাসিন্দারা এইচ,এম, সিরাজ বলেন, যে মদ পানের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সেটি ক্লাস রুমের। বিষয়টি ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য,গত (৪ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি মদ পানের ভিডিও ভাইরাল হয়। ভিডিওটিতে দেখা যায়,বিছালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, মারুফ হোসেন সহ স্থানীয় কতিপয় যুবকদের নিয়ে শ্রেণী কক্ষের হায়- টেবিলের উপর বসে মদ্য পান কর হচ্ছে। টেবিলে সারি সারি রয়েছে ইংলিশ সহ বাংলা মদের বতল।বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি নিয়ে এলাকার সচেতন মহল স্কুলের এহেন শিক্ষকের অপসারণের জন্য এইচ,এম,সিরাজের নেতৃত্ব অর্ধশতাধিক লোক একত্রিত হয়ে ডিসি অফিসে যান। এসময় জেলা প্রশাসকের নিকট ভিডিও দেখিয়ে দ্রুত অপসারণের দাবি জানান।
এ বিষয়ে বিছালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মারুফ হোসেন বলেন,ঘটনায় তদন্ত হচ্ছে। প্রতিবেদন দাখিলের উপর যা হওয়ার তাই হবে।
তদন্ত কারী কর্মকর্তা জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন,দ্রুততম সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হবে।